কালোজিরা তেল কিভাবে বানাবো - কালোজিরার তেল এর ব্যবহার - কালোজিরা তেল মালিশ - কালোজিরার তেল কোথায় পাওয়া যায়

কালোজিরা তেল কিভাবে বানাবো কালোজিরা তেলের দাম স্বাস্থ্যকর কালোজিরা তেল অর্গানিক কালোজিরা তেল প্রাকৃতিক কালোজিরা তেল

আমাদের দেশ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি রয়েছে। এই সংস্কৃতি বিভিন্ন আচার-আধার, খাবার, উপহার এবং কালের সাথে সম্পৃক্ত। কালোজিরা একটি মহান অংশ যা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রতিনিধিত্ব করে।

কালোজিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান। কালোজিরা একটি প্রাচীন রূপকল্প যা মূলত পাঁচটি খাবারের সাথে সম্পৃক্ত। সেগুলি হল চাল, মাংস, দুধ, ঘি এবং মিষ্টি। এই খাবার একটি সম্পূর্ণ খাদ্য সংস্কৃতি নির্বাচন করে যা বাংলাদেশে অন্য কোন প্রদেশে পাওয়া যায় না।কালোজিরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিনিধিত্ব করে এবং দেশের পরিচয় করে। এটি একটি আধুনিক সংস্কৃতি যা একটি সমস্ত দুনিয়

কালোজিরা তেল বানাতে হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

কালোজিরা তেল কিনুন

কালোজিরা তেল অনলাইনে অর্ডার করুন

কালোজিরা তেল বিক্রয় কেন্দ্র

কালোজিরা তেল কোথায় পাবেন

কালোজিরা তেলের দাম

স্বাস্থ্যকর কালোজিরা তেল

অর্গানিক কালোজিরা তেল

প্রাকৃতিক কালোজিরা তেল

কালোজিরা তেল ব্যবহারের উপকারিতা

কালোজিরা তেলের ব্যবহারের উপকারিতা

উপকরণ:

কালোজিরা বীজ ২ কাপ

তেল ১ কাপ

প্রণালী:

১। কালোজিরা বীজগুলো ধুয়ে সুখি করে নিন।

২। একটি পাত্রে তেল দিয়ে তাপ দিন।

৩। তাপ উঠানোর পর তেলে কালোজিরা বীজগুলো দিয়ে নিয়ে নামান।

৪। তাপ নিম্ন করে চুলায় রাখুন।

৫। নিয়মিত আচ দিয়ে কালোজিরা বীজগুলো ভাজতে থাকুন

কালোজিরা তেলের উপকারিতা

কালোজিরা তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার

কালোজিরা তেল ব্যবহারের নির্দেশিকা

কালোজিরা তেল উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কালোজিরা তেল কেনার সঠিক পদ্ধতি

কালোজিরা তেল উপকারিতা বিষয়ক সংবাদ

কালোজিরা তেল ব্যবহারের নির্দেশিকা ও উপকারিতা

কালোজিরা তেল কারা ব্যবহার করতে পারেন

কালোজিরা তেল মুখ ও চুলের জন্য কেনার সুবিধা

কালোজিরা তেল ব্যবহারের জন্য সঠিক পদ্ধতি

কালোজিরার থেকে যে তেল বের করা হয় তা আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে।

কালোজিরা আমরা সকলেই চিনি। নিমকি বা কিছু তেলে ভাজা খাবারে ভিন্ন ধর্মী স্বাদ আনতে কালোজিরা বেশি ব্যবহার করা হয় থাকে। এছাড়া অনেকেই কালজিরার ভর্তা খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার কালোজিরা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু কালোজিরার ব্যবহার খাবারে একটু ভিন্নধর্মী স্বাদ আনাতেই সীমাবদ্ধ নয়। আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতে কালোজিরার অনেক ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।

০১।স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি :

এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুশ্চিন্ত দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

০২।মাথা ব্যাথা নিরাময়ে :

১/২ চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথায় ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দিনে তিনবার করে ২/৩সপ্তাহ সেব্য।

০৩।সর্দি সারাতে :

এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।

০৪।বাতের ব্যাথা দূরীকরণে:

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশ করে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

০৫।বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে :

আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশকরে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

০৬।হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে :

এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।

০৭।ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতে :

প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্য যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।

০৮।অর্শ রোগ নিরাময়ে :

এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেব্য।

০৯।শ্বাস কষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে:

যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমসসায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা উপশম হবে।এছাড়া এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল, এক কাপ দুধ বা রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য।

১০।ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে:

ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচকালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।

১০।ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে:

ডায়াবেটিকদের রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালিজিরা। এক চিমটি পরিমাণ কালিজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া এক কাপ চা-চামচকালোজিরার তেল, এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ২বার করে নিয়মিত সেব্য। যা ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে একশত ভাগ ফলপ্রসূ।


১১।যৌন শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেঃ 

কালোজিরা নারী- পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। একচা-চামচ মাখন, এক চা-চামচ জাইতুন তেল সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধুসহ দৈনিক ৩বার৪/৫ সপ্তাহ সেব্য। তবে পুরানো কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।


১২।অনিয়মিত মাসিক স্রাববা মেহ/প্রমেহ রোগের ক্ষেত্রে কালিজিরার তেল ঃ

এক কাপকাঁচা হলুদের রস বা সমপরিমাণ আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী ।


১৩।দুগ্ধ দান কারিনীমা’ দের দুধ বৃদ্ধির জন্য :

যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালিজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালিজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।এছাড়াএকচা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেব্য। যা শতভাগ কার্যকরী।


১৪। ত্বকের আদ্রতার জন্য কালিজিরার তেল ঃ

শীতকালে ত্বকের আদ্রতার জন্য বডি লোশনেরপরিবর্তে শুধু কালোজিরার তেল অথবা জাইতুন (অলিভ ওয়েল)তেল এর সাথে কালোজিরার তেলমিশিয়ে সারা শরীরে সারা শরীরে মালিস করুন। যা আপনার / আপনার শিশুর অত্যান্ত আদ্র ওলাবণ্যময় এবং চর্মরোগের ঝুঁকি কমাবে। বিশেষভাবে শিশুর ত্বকের জন্য এই পদ্ধতিতেসারা বছর ব্যবহার করা যাবে।

১৫। গ্যাষ্ট্রীক বা আমাশয় নিরাময়ে :

এক চা-চামচ তেলসমপরিমাণ মধু সহ দিনে ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেব্য।

১৬। জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণে কালিজিরার তেল ঃ

একগ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহসেব্য।

১৭।রিউমেটিক এবং পিঠেব্যাথা দূর করার জন্য:

কালোজিরার থেকে যে তেল বের করা হয় তা আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করে। এছাড়াও সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

১৮।শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে কালোজিরা:

দুই বছরের অধিক বয়সী শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে কালোজিরা। দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

১৯।মাথা ব্যথায দূর করতে কালিজিরার তেল ঃ

মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

২০।স্বাস্থ্য ভাল রাখতে:

মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

২১।হজমের সমস্যায দূরীকরণে:

হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালিজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন। এভাবে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজমশক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

LihatTutupKomentar